Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: বাঙালির প্রধান উৎসব অবশ্যই দুর্গাপুজো। সারা বছর এই বাংলায় মানুষ অপেক্ষা করে শারদীয়া দুর্গাপুজোর জন্য। যদিও ভারতের বিভিন্ন শহরে দুর্গাপুজো করে থাকে প্রবাসী বাঙালিরা। কিন্তু ত্রিপুরা ছাড়া বাকি প্রদেশের শহরগুলিতে ঘুরলে পুজোর আমেজ সেভাবে পাওয়া যায় না। ভারতীয় হিন্দুদের সারা ভারত জুড়ে যে উৎসব, তা দীপাবলি। এ রাজ্যে কার্তিক অমাবস্যায় কালীপুজো হয়ে থাকলেও, অন্য রাজ্যে দীপাবলি আসলে লক্ষ্মীপুজো। আরও এক ধাপ এগিয়ে বলা যায় মহালক্ষ্মী পুজো।
পুরাণে আছে, রামচন্দ্র রাবনকে হত্যা করে যখন অযোধ্যা ফিরছিলেন, তখন তাঁর পাদুকা নিয়ে দেশ চালানো ভরতের কাছে খবর আসে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা, স্ত্রী সীতা-সহ অযোধ্যায় ফিরছেন। এবং অমাবস্যার পা দেবেন অযোধ্যায়। ভরত কর্মীদের আদেশ দিলেন, আমাবস্যায় রাজা ও রানী ফিরছেন, কিন্তু সে সময় নিকষ অন্ধকার। অতএব রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো হোক। আলোকিত হোক পুরো অযোধ্যা। সেই মোতাবেক আলোকময় করা হয়, এর নামই দীপাবলি। যদিও আমাদের হাজারো মত রয়েছে। কিন্তু এই মতকেও অস্বীকার করা যায় না।
এই দীপাবলির উৎসব কিন্তু অবাঙালিদের কাছে তিন দিনের প্রথমটি ধনতেরাস, যা কিনা কুবেরের পুজো। কুবের ধনরত্নের দেবতা অর্থাৎ সেখানেও লক্ষ্মীর ভূমিকা রয়েছে ,রয়েছে গণেশের ভূমিকা। কাজেই ওই দিনে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো হয়ে থাকে। কথিত আছে এই দিনে লোহা ব্যতীত মানুষ যদি অন্য কোনও ধাতু কেনে তবে নাকি তার উন্নতি অবধারিত। ধনতেরাসের পরদিন ছোট দীপাবলি বা ছোটে দিওয়ালি। এই দিন নাকি দেবী কালিকার আশীর্বাদে কৃষ্ণ নরকাসুরকে হত্যা করেছিলেন। ফলে এই দিনে অনেকে কৃষ্ণের পুজো করে। অবশ্যই গনেশ এবং লক্ষ্মী, আর শেষদিন আমাবস্যায় দিওয়ালি। অর্থাৎ কালীপুজো এবং লক্ষ্মী পুজো। দীপাবলি কিন্তু সারা ভারতে তিনদিন পালিত হয়। আজকাল বাঙালিরাও এই মতের সঙ্গে চলছে।