Share this link via
Or copy link
সুজিত সাহা: পুজো পুজো গন্ধ মেখে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির মন ছোটে একটু ভিন্ন স্বাদের আশায়। রাস্তাঘাট, মাঠময়দান, হোটেল, রেস্তোরাঁ, কলকাতার, চতুর্দিকে রঙবেরঙ মানুষের ভিড়। আর বাড়ির সামনে পুজো হলে তো কথাই নেই। নিজের বাড়িতে ঢুকতেও বাঁশের ব্যারিকেডে লাইন। শহর বা শহরতলিতে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার দু'পাশে লাল শালু জড়ানো সস্তার বিরিয়ানি হাড়ির সিন্থেটিক আতরের গন্ধ চারদিকে। নাভিশ্বাস এক শ্রেণির মানুষের। সারা বছরের কর্মব্যস্ততার মাঝে ছুটিকে একটু অন্য স্বাদে অনুভব করার চেষ্টা, তাঁরা মনে করে পুজোর সময় কলকাতাকে। ওরে বাবা রক্ষা করো।
বাঙালির দিপুদা; দিঘা, পুরী, দার্জিলিং তো আছে। সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বকখালি, টাকি, হিমাচল প্রদেশ, কাকদ্বীপ আরও কত নাম! যার যেখানে মন চায়, আমাদের ছুটি ছুটি চল নেব লুটি ওই আনন্দ ঝর্নায় বলতে বলতে চলে যায়। আমার একটা ছোট ভ্রমণপিপাসু দল আছে, যারা আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিল পুরীর জন্য। একাধিকবার যাওয়া সত্বেও সময়টা অন্যভাবে অতিবাহিত করতে এবারের যাত্রা। পুরী পৌঁছলাম সপ্তমীর ভোরে। আলো-আঁধারির ভোরে টোটোয় চেপে এগোতেই সূর্য উঁকি মারল সমুদ্রের বুক চিড়ে। আলো বাড়ার সঙ্গেই বালুকাবেলায় ছুটে আসা ঢেউগুলো ঝিকমিক করে মিলিয়ে যাচ্ছে। আবার আর একটা ঢেউ ছুটে আসার জন্য তৈরি।
আমি এই সূর্যোদয়ের মাঝে সুবিশাল জলরাশির সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে কখন হারিয়ে ফেলেছি জানি না। সম্বিত ফিরল দেখি আমার এক বন্ধু একতাল বালি নিয়ে ঢিবি করছেন।দৃশ্য দেখে হাসলাম বটে, সবাই যে যার নিজের মতো করে সময়ের সঙ্গে কথা বলছে। সমুদ্রে স্নান, ঘোরাঘুরি, অনাবিল আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, কখন যে তিন দিন কেটে যাবে টের পাব না। দশমীর দিন আবার দুরন্ত এসে ঠেকবে শিয়ালদহে। একাদশী থেকে আবার সেই আগের জীবন, থোর বড়ি খারা আর...।