Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: সারা বছর রাজ্যের মন্ত্রীরা বলেন তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। সুখে-দুঃখে তাঁরা এককাট্টা থাকেন। কিন্তু পুজোয় আবার এঁরাই চরম প্রতিদ্বন্দ্বী? এই একটি বিষয়ে অরূপ বিশ্বাস, ববি হাকিম বা সুজিত বসুদের মধ্যে চলে টক্কর। কেউ জমি ছাড়তে নারাজ। সকলেই প্রমাণ করতে ব্যস্ত যে তাঁর পুজোই সেরা। পুরস্কারের পরোয়া করেন না তাঁরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের একটা বিষয় থেকে যায়। যদিও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে পুজো আয়োজনে কে সেরা, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মন্তব্যে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। ঘুরেফিরে সব মন্ত্রীদের পুজো উদ্বোধনে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কিন্তু শারদ উৎসবের আঙিনায় কেউ, কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ। এই প্রতিবেদককে একবার অরূপ বিশ্বাস বলেছিলেন, কি পুজোয় নতুন কিছু পেলে? বলেই তাঁর বক্তব্য, কোথায় মেসির খেলা আর কোথায় সাধারণ? অর্থাৎ তাঁর পুজো মেসির মতোই আকর্ষণীয়। অরূপ পুজোর পঞ্চমী থেকে দশমী অবধি দিবারাত্র সুরুচি সংঘের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। অন্যদিকে ববি অবশ্য কলকাতা পুরসভার মেয়র হওয়ার সুবাদে চেতলা অগ্রণীর প্যান্ডেল ছেড়ে বিভিন্ন অন্য পুজোয় যেতেই হয়। লেকটাউনের সুজিত বসু অবশ্য একেবারেই আলাদা। সুবিশাল তাঁর সংগঠন। পুজোয় যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য তাঁর অন্তত ১০০ জন কর্মী নানা দিকে ছড়িয়ে থাকেন। এ ছাড়াও পুজো আছে দেবাশীষ কুমারের, পরেশ পালের। উত্তর থেকে দক্ষিণে ছড়িয়ে তৃণমূলের পরিচিত নেতামন্ত্রীদের পুজো।
উপরে উল্লিখিত সব পুজোই কিন্তু মূলত থিমের পুজো। ববির পুজোয় মায়ের চক্ষুদান করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তেমনই সব শেষে সুরুচি সংঘের পুজোর উদ্বোধনে যান তিনি। গত কয়েক বছর ধরে সুজিত বসুর পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী যাননি। কিন্তু এবার শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের ৫০ বছর, কাজেই আশা করা যায় মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই যাবেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রীর পুজোয়।