Share this link via
Or copy link
বর্ধমান শহর (Burdwan City) থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরত্বে কালিকাপুর রাজবাড়ি। দুর্গাপুর থেকে কালিকাপুর রাজবাড়ির দূরত্ব ৩২ কিলোমিটার। ৪০০ বছরের পুরনো রাজবাড়ি শোনায় পুরনো দিনের ইতিহাস। পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) আউশ গ্রামের কালিকাপুর রাজবাড়ির পুজো (Durga Puja 2022), এলাকায় পরিচিত সাত ভাইয়ের পুজো নামে।
শুরুর শুরুটা একটু ঝালিয়ে নেওয়া যাক। ৪০০ বছর আগে বর্ধমান রাজার দেওয়ান ছিলেন পরমানন্দ রায়। রাজার প্রিয়, তাই হাতে আসে কাঁকসার একটি বিরাট অংশের জমিদারিত্ব। ঘনজঙ্গল কেটে তৈরি হয় বসতবাড়ি। তৈরি হয় পুকুর, বাগান, দুর্গামন্দির। পরমানন্দ সাত পুত্রের জন্য তৈরি করলেন সাতমহলা প্রাসাদ। যা কালিকাপুর রাজবাড়ি বলে খ্যাত। এই সাতভাই একসঙ্গে পুজো করতেন বলে এই পুজো সাতভাইয়ের পুজো।
পুজো মণ্ডপ তিন দিকে ঘেরা একটি আটচালা মণ্ডপ। অতীতের জৌলুষে কিছুটা ধুলো জমেছে। তবে রীতিনীতি রয়ে গিয়েছে একই রকম। পুজোর ১৫ দিন আগে কৃষ্ণনবমীতে ছাগ বলির মধ্য দিয়ে দেবীর বোধন হয়। এছাড়াও ষষ্ঠী, সপ্তমী ও অষ্টমীতেও ছাগ বলি হয়। আগে নবমীর দিন মহিষ বলি হত। বর্তমানে সেই রীতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বোধনে পালকি করে পুকুর থেকে ঘটে করে জল আনা হয়। মন্দিরে নিত্য সেবা হয় মায়ের।
কালিকাপুর রাজবাড়িতে একাধিক সিনেমার শুটিং হয়েছে। গয়নার বাক্স, গুপ্তধন রহস্যের শুটিং হয়েছে এখানে। এছাড়াও মৃণাল সেন পরিচালিত নাসিরুদ্দিন শাহ ও শাবানা আজমি অভিনীত খন্ডহর সিনেমার শুটিং হয় কালিকাপুরের এই রাজবাড়িতেই।
কালিকাপুর রাজবাড়ির মাহাত্ম্য জানে আশেপাশের এলাকার মানুষজনও। পুজোর ক'দিন মায়ের দালানে ভেঙে পড়ে গোটা গ্রামের মানুষ। পুজোর ক'দিন কান পাতলেই শোনা যায় সাতভাইয়ের গল্প।