Share this link via
Or copy link
সৌমেন সুর: দেবীকে এক এক পুরাণে এক একভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এবার নামকরণেও পার্থক্য এসেছে এরই মধ্যে। কোথাও দেবী হয়েছেন রুদ্রের ভগিনী, এবার কোথাও হয়েছেন রুদ্রের পত্নী। দেবী দুর্গা হয়েছেন বিশ্বব্রহ্মান্ডের অধীশ্বর। তিনিই এবার জগৎপালিকা জগদ্ধাত্রী। সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় একই সঙ্গে তিনি ধারণ করেন। তাই তিনি দেবী রুদ্রাণী। মুন্ডক উপনিষদে দেবী দুর্গাকে দেখা গিয়েছে কালী ও করালীরূপে। দেবী কখনও শাকম্ভরী। মার্কন্ডেয় পুরাণে শ্রী শ্রী চন্ডী থেকে জানা যায়, দেবীর উৎপত্তির কাহিনী।
মহিষাসুরের অত্যাচারে দেবতারা যখন স্বর্গচ্যুত, তখন ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরসহ সমস্ত দেবতার দেব-নিঃসৃত তেজ থেকে যে দেবীর জন্ম হয়, তিনিই মহামায়া। তিনি অগ্নিবর্না, তেজস্বিনী, অপরূপা। তিনি দশভূজা,দশপ্রহর-ধারিনী। দশ হাতে অস্ত্র সমন্বিত হয়ে মহিষাসুর বধে ব্রতী হলেন। মার্কন্ডেয় পুরাণে বলা হয়েছে, দেবী দুর্গম নামে অসুরকে বিনাশ করে জীবের দুর্গতি মোচন করেন এবং দুর্গা নামে বন্দিতা হন।
এই দেবীকেই রামায়ণে রাম আহ্বান করেছেন। এবার মহাভারতে যুধিষ্ঠির ও অর্জুন উভয়ই বন্দনা করেছেন। ব্রহ্ম জ্যোতিস্বরূপিনী উমাকে প্রথম ব্রহ্মের শক্তি, স্বরূপ আর মহিমায় পাওয়া যায়। শক্তিধর্মের মধ্যে ভগবতী, পরমেশ্বরী, অম্বিকার দেখা পাওয়া যায়। দেখা যায় শিবদূতী, ভীমা, ভেমরী নামেও। শক্তিধর্মের ধারায় দেবীই ব্রহ্মস্বরূপিনী, পরাৎপরা। জগৎ ও জীবনের অধিশ্বরী।