সুজিত সাহা: "তোমায় নতুন করে পাব বলে হারাই ক্ষণে ক্ষণ..." আসা যাওয়ার খেলা চিরন্তন। বিষাদে আনন্দে জগৎজননী মায়ের বিদায়ের পালা। আবার সামনের বছরের জন্য অপেক্ষা। পুজোর পাঁচ দিন এত আনন্দ, জৌলুষ, আলোর রোশনাই, ভিড় সবই যেন আপাতত শেষ। ঢাকিদের ঘরে ফেরার পালা। ক্লান্ত পথঘাট, ঢাকের বাদ্য নেই, নিদ্রাগত শহর, কচিকাঁচার ছুটোছুটি নেই। সদ্য গজিয়ে ওঠা দোকানগুলোর ঝাঁপ বন্ধ। ক্লান্তির রেশ কাটিয়ে ছন্দে ফিরতে বাঙালির হয়তো একটু সময় লাগবে।আমি ক্লান্ত পথে আনমনে যতই এগোই, দেখি যারা গড়বার খেলায় মত্ত ছিল এতদিন, তাঁরাই এখন ভাঙতে ব্যস্ত। কঙ্কালসার মণ্ডপে নৈশব্দ আর মহাশূন্যতা। এই মহাপুজোর ঝড়ে সব যেন লণ্ডভণ্ড। চতুর্দিকে অবিন্যস্ত পুজোর ফুল, মালা, উপকরণ, নোংরা আবর্জনা, মাঠঘাট পথেপ্রান্তরে ছড়ানো ছেটানো। এবার সবকিছু স্বাভাবিক এবং শ্রীবৃদ্ধি হওয়ার পালা। অফিস বাজার হাট, স্কুল সবই খোলার অপেক্ষায়। যাওয়ার কালে মা জগৎজননীর সঙ্গে ঘরের জননীর সিঁদূরখেলা, মাকে রাঙিয়ে বিদায় জানানো। মা এবার কৈলাসের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। গঙ্গার ঘাটগুলো প্রবল ব্যস্ত। কারণ মর্ত্য ছেড়ে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে পাড়ি দেবেন মা।'আসছে বছর আবার হবে ধ্বনি' ধীরে ধীরে মিলিয়েছে আকাশে-বাতাসে। সব শেষ, পথঘাট, নদী, দূষণমুক্ত হয়ে আবার তার নিজের ছন্দে সুন্দরের দিকে এগিয়ে চলুক। সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক মানবকূল।
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)