Share this link via
Or copy link
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতার বিখ্যাত পিয়ারলেস ইন হোটেলের আহেলি রেস্তোরাঁয় স্বাদের পরিক্রমায় পরিবেশিত হবে আসমুদ্র হিমালয়ের জিভে জল আনা রকমারি বাঙালি খানা। ভারতের প্রথম ফাইন ডাইনিং বাঙালি রেস্তোরাঁ আহেলিতে এবার পুজোয় পরিবেশিত হবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিখ্যাত সব পদ। কলকাতার খাদ্যরসিকরা কলকাতায় বসে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিখ্যাত সব খাবারগুলি চেখে দেখার বিরল সুযোগ পাবেন।
আহেলিতে পুজোয় পরিবেশিত হবে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার চিংড়ি ভরা কাকরোল, আম-আদা দিয়ে চিংড়ি, মুসুর ডালের পাতুরি, কোচবিহারের ফুল চিংড়ির বড়া, গন্ধরাজ চিংড়ি পোলাও, পুরুলিয়ার পাতা পোড়া মুরগি, আলিপুরদুয়ারের তিল বুদানার বড়া, তিল ঝালে চিতল পেটি, নদিয়ার পোস্ত মোচার লতিকা, ছানার অঙ্গুরি, মুর্শিদাবাদের মাংসের দই বড়া, পানিফলের পাঁচ মেশালি। মুর্শিদাবাদের ফুলকপির রেজালা, বাঁকুড়ার বিউলির ডাল, ফুলকপি চিংড়ি পোস্ত, ডাব চিংড়ি, মালদহের ছানার পুর ভরা বাদশাহি বেগুন, উত্তর চব্বিশ পরগনার সর্ষে পাবদা পোস্ত, বর্ধমানের মাংসের গড়গড়া, মেদিনীপুরের ভেটকি মাছের লাল শুকতো।
এছাড়া রয়েছে নবদ্বীপের মোচার ধোকার ডালনা, বর্ধমানের সীতাভোগ মিহিদানার যুগলবন্দি। শক্তিগড়ের ল্যাংচা ও জনাইয়ের মনোহরা প্রভৃতি। আহেলিতে পরিবেশিত হবে পুজো স্পেশাল আমিষ ও নিরামিষ বাঙালি থালি। আমিষ থালিতে থাকবে লুচি, বেগুন ভাজা, ফুলকপির রেজালা, সাদা ভাত, ডাল, তোপশে মাছের ব্যাটার ফ্রাই, আলু পোস্ত, ইলিশ ভাপা, কষা মাংস, পাপড়, মিস্টি দই ও কমলাভোগ। আমিষ থালির দাম ২৬৯৫ টাকা, নিরামিষ থালির দাম ১৬৯৫ টাকা।
পুজোর দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন ধর্মতলার পিয়ারলেস ইন হোটেলে, নিউ টাউনের এক্সিস মলে ও দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বসু রোডে আহেলির শাখাতে মধ্যাহ্ন ও নৈশভোজে এসব বাঙালি খাবার পরিবেশিত হবে।