Share this link via
Or copy link
কে না জানে, বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। জীবদ্দশায় একবার ভূস্বর্গ ঘুরে আসার ইচ্ছা থাকে সকলেরই। সুনীল আকাশ, হিমবাহ, বরফে মোড়া সাদা পাহাড়, বরফ গলা জলের নদী। হিমালয়ের কোলে ক'টা দিন কাটিয়ে আসার বাসনা থাকে সকলের। কিন্তু, যাই বললেই কি আর যাওয়া হয়! জায়গার নাম যে কাশ্মীর! সীমান্তের রাজ্য। তাই না বলে কয়ে গেলে প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে প্রতি মুহূর্তে। কখনও বন্যা, কখনও জঙ্গি হামলা, কখনও বা কোভিড বিধি এবং লকডাউন। ভূস্বর্গ কাশ্মীরে এসবের প্রভাব একটু বেশিই। বলা ভালো কুপ্রভাব। এসব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য রয়েছে সুখবর।
এক পাশে পাহাড়, আর মাথার উপরে খোলা আকাশ। লেকের পাশে বসে এমন পরিবেশে সিনেমা দেখার চিন্তাভাবনা অনেকের কাছে কল্পনা মনে হলেও এখন আর তা কল্পনা নয়। এবার থেকে কাশ্মীরে গেলেই তা চাক্ষুষ করা যাবে।শুক্রবার ডাল লেকে শুরু হল ভাসমান থিয়েটার। যা কিনা এশিয়ার মধ্যে এই প্রথম। এবার ডাল লেকে বসেই থিয়েটার দেখতে পাবেন পর্যটকরা। লেজার শো এবং স্থানীয় নৃত্যশিল্পীদের নাচের মধ্যে দিয়েই সূচনা হল এই ভাসমান হলের।
হলটি চালুর প্রথম দিন পর্যটকদের দেখানো হয় বলিউডের জনপ্রিয় ছবি ‘কাশ্মীর কি কলি’। শাম্মী কাপুর ও শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত এই সিনেমাটির অনেকাংশই শুটিং হয়েছিল কাশ্মীর অঞ্চলে। ডাল লেকের নেহরু পার্কে শুটিং হওয়া সিনেমাটির ‘দিওয়ানা হুয়া বাদল’ গানটি বেশ জনপ্রিয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব অরুণ কুমার মেহতারের ভাষ্যমতে, প্রথম থেকেই শ্রীনগরের এই ডাল লেক পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পর্যটকরা এখানে বেড়াতে আসলে অবশ্যই ডাল লেকে শিকারা ভ্রমণ করেন। এ জন্য তাদের ভ্রমণকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য এই উদ্যোগ। আশা করছি এতে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পের অনেক উপকার হবে।
প্রসঙ্গত, এক সময় সিনেমার শুটিংয়ের জন্য বলিউডের প্রথম পছন্দ ছিল কাশ্মীর। কিন্তু সেখানে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ার পর শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। এতে পর্যটন শিল্পেও প্রভাব পড়ে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক শান্ত। এজন্য গত কয়েক বছর ধরে ফের সিনেমার শুটিং চলছে কাশ্মীরে।