চরম অমানবিক ঘটনা! ফুটফুটে ছাত্র। কতই বা বয়স, খুব জোর ১৩। স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পাঠরত ছিল সে। এমনই এক স্কুল পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি রাজস্থানের এক বেসরকারি স্কুলের। জানা যায়, বুধবার হঠাৎই ওই স্কুলের এক শিক্ষক ১৩ বছরের ওই পড়ুয়াকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। যার পরিণতি হয় মর্মান্তিক। ওই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারায় শিশুটি। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিতসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ক্লাসের হোমওয়ার্ক না করাতেই নাকি শিক্ষক রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। ওইটুকু ছাত্রের গায়ে হাত তুলতেও তিনি এতটুকু দ্বিধাগ্রস্ত হননি। পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছে, বুঝতে পেরেই তিনি খবর পাঠান তার বাড়িতে। হন্তদন্ত হয়ে স্কুলে এসে পৌঁছন তার বাবা। তবে সেখানে ওই শিক্ষক জানিয়ে দেন, ছেলে হোমওয়ার্ক না করার কারণে তাকে একটু বকা দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই সে নাকি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় ।
কিন্তু তাঁর বাবা এই ঘটনাটি মেনে নিতে পারেননি। পাশাপাশি ওই পড়ুয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ডাক্তার এরপর দেখামাত্রই বুঝে যান, ওই পড়ুয়ার অবস্থা খারাপ। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে মৃত বলে জানানো হয় ।
এরপর ছেলেটির বাবা পুলিসের কাছে এফআইআর দায়ের করেন। ঘটনা জানামাত্রই পুলিস হাজির হয় । সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তারা। তবে স্কুলের কেউই তাদের প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি বলেই জানা গিয়েছে। বারবার বলা হয়েছে, পড়া না পারাতে তাকে শুধুমাত্র বকাঝকাই করা হয়েছে ।
কিন্তু এভাবে পড়ুয়াদের পড়া না পারা কিংবা হোমওয়ার্ক না করার জন্য এই ধরনের শাস্তি? বেশ কিছুদিন আগে এরকম ঘটনা দিল্লিতেও ঘটতে দেখা গেছে। যদি এরকমই চলতে থাকে, তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, আমাদের সমাজ কোনদিকে এগচ্ছে।
শিক্ষকরাই তো মানুষ তৈরির কারিগর। তাঁদেরই এ হেন আচরণ ছোট ছোট বাচ্চাদের কাছে কী বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে? এই প্রশ্নটাই এখন ভাবাচ্ছে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে।