কলকাতাঃ নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে বড় অস্বস্তিতে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই রাজ্যে প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছে ১২ জন। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনএ তথ্য পেল সিঙ্গেল বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি'র ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়। সেখানে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। এই নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের তালিকা জমা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
২০২১ হাইকোর্টে এক প্রাথমিক মামলার নির্দেশনামায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। উত্তরদিনাজপুরের স্বদেশ দাস প্রাথমিক শিক্ষক পদে ২০১৯ সালে নিয়োগপত্র পান। তার ৩ দিন পর উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকে ডেকে পাঠানো হয় তাকে। ওই প্রাথমিক শিক্ষককে টেট যোগ্যতামান সংক্রান্ত নথি পেশ করতে বলা হয়। কিন্তু যে সব নথির ভিত্তিতে যোগ্য নির্বাচিত হয়ে প্রাথমিক শিক্ষক হয়েছেন, তা দেখাতে পারেননি তিনি। এরপর ওই প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়।
২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে। আর পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে।