বেশ কয়েকদিন ধরে করোনার গ্রাফ অনেকটাই ওঠা-নামা করছিল। এদিকে এখনও উৎসবের মরশুম চলছে। তার মধ্যেই শীতের আমেজ শুরু।
এইরকম একটা পরিস্থিতিতে যদি করোনাবিধি মেনে না চলা হয়, তবে তৃতীয় ঢেউ নিশ্চিত, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর, চলতি সপ্তাহের শুরুতে দেশে খানিকটা কমল করোনা সংক্রমণ।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ১৪ হাজার ৩৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪৪৩ জনের। রবিবার আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এর চেয়ে বেশি ছিল। দেশে কমেছে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও।
এদিকে কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ সামনেই দীপাবলি।
সেইমত উৎসবে নিয়মবিধি বাঁধতেই নির্দেশ কেন্দ্রের। যদিও বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজোতে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তা সেভাবে কেউ মানেনি। তবে এখনও উৎসব কাটেনি। সেক্ষেত্রে বিধিনিষেধ মানুষ কতটা মানে, সেটাই এখন দেখার।
এদিকে কেন্দ্র নাইট কার্ফুর কথাও জানিয়েছে। ইতিমধ্যে নাইট কার্ফুর কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীও। দেশজুড়ে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ।
ভারতে ১০০ কোটির টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনতে উদ্যোগী কেন্দ্র।
পাশাপাশি কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করার উদ্যোগও শুরু হয়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে যেখানে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে কন্টেইনমেন্ট জোনের কথা বলা হয়েছে। তবে সামনেই দীপাবলি। পুজোর মতো এখানেও নিয়মাবলী মানুষ কতটা মানে, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
এদিকে কেরল, মহারাষ্ট্রে এখনও যেন আতঙ্ক কাটেনি। এই আতঙ্কের মাঝেই দেওয়ালি উৎসবের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ফলে দুশ্চিন্তা একটা থেকেই যাচ্ছে।