Breaking News
Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

হেঁশেল

Hilsa: বাড়িতে বানান সুস্বাদু বরিশালি ইলিশ

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: নতুন বছরে বাঙালি নিজের হাতে ইলিশের একটি বিখ্যাত পদ রান্না করে বাড়ির লোকেদের খাইয়ে ও নিজে খেয়ে তৃপ্তি পেতে পারেন।বরিশালি ইলিশ তৈরির পদ্ধতি--- গাদা, পেটি, ডিম-সহ প্রতিটি ১৫০ গ্রাম ওজনের মোট চারটি মাছ (৬০০ গ্রাম) নিয়ে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছে নিন। হাফ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ও আন্দাজমতো নুন মাখিয়ে নিন। একটি পাত্রে ১ চা চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ২ টেবিল চামচ টক দই ও আন্দাজমতো জল দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।

একটি পাত্রে ৫০ গ্রাম সাদা সর্ষে বাটা নিয়ে তার মধ্যে এক কাপ জল দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে ৫০ গ্রাম সর্ষের তেল গরম করে হাফ চা চামচ ও চারটে গোটা কাচা লঙ্কা ফোড়ন দিন। এবার ইলিশ মাছের খণ্ডগুলো দিয়ে উল্টে পাল্টে দুই পিঠ ভেজে নিন। এবার ওর মধ্যে শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, হলুদ ও টক দইয়ের মিশ্রণটা ঢেলে খুন্তির সাহায্যে নেড়ে দিন। মাছের খণ্ডগুলো উল্টে পাল্টে দিন। এবার সাদা সর্ষে বাটা ও জলের মিশ্রণটা দিয়ে খুন্তির সাহায্যে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। 

ইলিশের খণ্ডগুলো আবার উল্টে দিয়ে নিভু আঁচে মিনিট পাঁচেক রান্না করুন। এবার ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ নারকেল বাটা, এক টেবিল চামচ কাজু বাদাম বাটা, এক টেবিল চামচ কাচা লঙ্কা বাটা, এক চা চামচ চিনি দিয়ে খুন্তির  সাহায্যে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ৪টে চেরা গোটা কাচা লঙ্কা ছড়িয়ে দিয়ে নিভু আঁচে আরও পাচ মিনিট রান্না করুন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে গরম ভাত সহযোগে পরিবেশন করুন।

12 months ago
Katla: নববর্ষে বাড়িতে বানান সুস্বাদু কাতলা মাছের রেজালা

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: নববর্ষে বাঙালি নিজের হাতে কাতলা মাছের রেজালা তৈরি করে পরিবারের সবাইকে ও বন্ধুদের খাইয়ে খুশি করতে পারেন। মটন/চিকেন রেজালা তো অনেক খেয়েছেন এবার কাতলা মাছের রেজালা তৈরি করে সবাইকে খাইয়ে ও নিজে খেয়ে দেখতে পারেন। কাতলা মাছের রেজালা তৈরির পদ্ধতি---   একেকটা একশো গ্রাম ওজনের মোট পাঁচটা পাকা কাতলা মাছের খণ্ড (মোট পাঁচশো গ্রাম) জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছুন। কাতলা মাছের খণ্ডগুলোর গায়ে এক টেবিল চামচ আদাবাটা, এক টেবিল চামচ রসুনবাটা ও আন্দাজমতো নুন হাতের সাহায্যে ভাল করে মাখিয়ে এক ঘন্টা ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখে দিন। একটি সসপ্যান আঁচে বসিয়ে তার মধ্যে দুটো বড় পেয়াজের কুচি, ৭৫ গ্রাম কাজু বাদাম, এক টেবিল চামচ পোস্ত, দশটা রসুনের কোয়া, দুই টেবিল চামচ আদা কুচি, দুটো কাচালঙ্কা ও আন্দাজমতো জল দিয়ে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিন।  

সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সিদ্ধ করা সমস্ত উপকরণ মিক্সিতে দিয়ে একটি পেস্ট বা মিশ্রন তৈরি করে নিন। মিশ্রনটা আলাদা করে রাখুন। একঘন্টা বাদে ফ্রিজ থেকে বার করে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে তার মধ্যে ভাতের হাতার এক হাতা সাদা তেল ও ভাতের হাতার এক হাতা দেশি ঘি গরম করে ওর মধ্যে একটি একটি করে আদা, রসুন বাটা ও নুন মাখানো কাতলা মাছের খণ্ড দিয়ে উল্টে-পাল্টে দুই পিঠ খুব হাল্কা করে ভেজে তুলে তেল ঝরিয়ে আলাদা করে রাখুন। 

সবকটা মাছ তুলে নেওয়ার পরে কড়ার মধ্যের সাদা তেল ও দেশি ঘিয়ের মিশ্রনের মধ্যে দুটো তেজপাতা, দুটো গোটা শুকনো লঙ্কা, একটি বড় দারচিনির স্টিক, ছটা ছোট এলাচ, ছটা লবঙ্গ, এক চা চামচ গোটা কালো গোল মরিচ ফোরন দিন। এবার মিক্সিতে বাটা পেয়াজ, কাজুবাদাম, পোস্ত, আদা, রসুন, কাচালঙ্কা  বাটার মিশ্রন বা পেস্টটা দিয়ে সামান্য জল দিয়ে নিভু আঁচে ক্রমাগত নেড়ে মিনিট পাঁচেক কষে নিন। এবার ওর মধ্যে একশো গ্রাম ফেটানো টকদই, হাফ চা চামচ সাদা মরিচের গুঁড়ো দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার আন্দাজমতো নুন ও এক চা চামচ চিনি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। 

এবার ওর মধ্যে হালকা ভাজা কাতলা মাছের খণ্ডগুলো দিয়ে সামান্য জল দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে মিনিট ছয়েক রান্না করুন। এরপরে ঢাকনা খুলে হাফ চা চামচ জাফরান তিন টেবিল চামচ দুধে গুলে ওর মধ্যে দিন। এক চা চামচ কেওড়া জল দিয়ে উপর থেকে কয়েকটি গোটা শুকনো লঙ্কা ছড়িয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পরোটা, রুটি বা পোলাও সহযোগে। 

12 months ago
Katla: বাড়িতে বানান সুস্বাদু কাতলা মাছের ভর্তা

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলাদেশে রকমারি মাছ ও সব্জির ভর্তা খাওয়ার খুবই প্রচলন আছে। গরম ভাতের সঙ্গে সবজি বা মাছের ভর্তা মেখে খাওয়ার মজাই আলাদা। বাড়িতে খুব সহজেই কাতলা মাছের ভর্তা তৈরি করে পরিবারের সবাইকে খাইয়ে ও নিজে খেয়ে তৃপ্তি পেতে পারেন। কাতলা মাছের ভর্তা তৈরির পদ্ধতি ---একশো গ্রাম ওজনের পাঁচটা কাতলা মাছের খণ্ড (মোট পাঁচশো গ্রাম) জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে আন্দাজমতো নুন ও হলুদ মাখিয়ে নিন। সসপ্যান আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো জল দিয়ে কাতলা মাছের খণ্ডগুলো ওর মধ্যে দিয়ে সিদ্ধ করুন। মাছ সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন।

মাছের খণ্ডগুলো একটা একটা থালা বা প্লেটের উপর রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সিদ্ধ করা কাতলা মাছের খণ্ডগুলোর ছাল ও কাঁটা ছাড়িয়ে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে এক টেবিল চামচ সর্ষের তেল গরম করে দশটা রসুনের কোয়া,  দুটো শুকনো লঙ্কা, দুটো কাচা লঙ্কা দিয়ে নেড়ে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে থালা বা প্লেটের মধ্যে রাখুন। এবার সিদ্ধ করা কাঁটা ও ছাল  ছাড়ানো কাতলা মাছের খণ্ডগুলো হাতের সাহায্যে ভেঙে নিন।

এবার ওর মধ্যে একটা বড় পেঁয়াজের স্লাইস, দুই টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি, এক টেবিল চামচ সর্ষের তেল, আন্দাজমতো নুন, ভাজা রসুন, শুকনো লঙ্কা ও কাচা লঙ্কা নিয়ে হাতের সাহায্যে খুব ভাল করে চটকে আলু ভাতে মাখার মতো করে মেখে নিন। কাতলা মাছের ভর্তা তৈরি হয়ে গেল। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

12 months ago


Murgi: এই গরমে খান লেবু-লঙ্কা-মুরগি, উপভোগ করুন গ্রীষ্ম

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: গরমকালে দুপুরের খাবারে লেবুর গন্ধে ভরা সুস্বাদু লেবু লঙ্কা মুরগি দিয়ে ভাত মেখে খাওয়ার মজাই আলাদা। নিজের হাতে এই পদটি রান্না করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে জমিয়ে খেয়ে সবার মন জয় করতে পারেন।

লেবু লঙ্কা মুরগি তৈরির পদ্ধতি--- পাঁচশো গ্রাম ড্রেসড চিকেনের সাতটা খণ্ড করে নিন। চিকেনের খণ্ডগুলো জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছে নিন। একটি পাত্রে চার টেবিল চামচ পেঁয়াজে রস, দুই টেবিল চামচ আদার রস, দুই টেবিল চামচ রসুনের রস, ভাতের হাতার দুই হাতা ফেটানো টকদই, দুটো গন্ধরাজ লেবুর রস, একটা পাতি লেবুর রস, আন্দাজমতো নুন, দুই চা চামচ ধনের গুঁড়ো, দুই চা চামচ কাচা লঙ্কা বাটা, দুই টেবিল চামচ সাদা তেল নিয়ে চামচের সাহায্যে নেড়ে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন।

এবার চিকেনের খণ্ডগুলো এই মিশ্রণের মধ্যে দিয়ে হাতের সাহায্যে চিকেনের খণ্ডগুলোর গায়ে মিশ্রণটা ভাল করে মাখিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো ফ্রিজে ঢুকিয়ে ঘন্টা দুয়েক রেখে দিন। ঘন্টা দুয়েক বাদে কড়া আঁচে বসিয়ে ভাতের হাতার এক হাতা দেশি ঘি গরম করে ছটা ছোট এলাচ ফোড়ন দিন। এবার ম্যারিনেট করা চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে ক্রমাগত নেড়ে কিছুক্ষণ কষান। আন্দাজমতো জল দিয়ে দশটা গন্ধরাজ লেবুর পাতা, আটটা  চেরা কাচা লঙ্কা দিয়ে নিভু আঁচে মিনিট পাঁচেক রান্না করুন। এবার ওর মধ্যে ভাতের হাতার দুই হাতা ঘন টক দই, হাফ চা চামচ চিনি, আন্দাজমতো নুন দিয়ে খুন্তির সাহায্যে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে মিনিট দশেক রান্না করুন।

মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে দেবেন। চিকেন সম্পূর্ন সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ বাড়িয়ে অতিরিক্ত ঝোলটা টানিয়ে নিন। গা মাখা কাই-কাই হবে। আঁচ থেকে নামিয়ে রুটি, পরোটা বা ভাত সহযোগে পরিবেশন করুন।

12 months ago
Korma: বাড়িতে বানান সুস্বাদু চিকেন কোরমা, জানুন রেসিপি

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: ছুটির দিনে বাড়িতে অতিথি এলে তাদের জন্যে সুস্বাদু   চিকেন কোরমা নিজের হাতে তৈরি করে খাইয়ে খুশি করতে পারেন। রুটি, পরোটা বা পোলাও সবের সঙ্গেই এই পদটি অত্যন্ত উপাদেয়। চিকেন কোরমা তৈরির পদ্ধতি---- এক কেজি চিকেনের দশটা খণ্ড করে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল ঝরিয়ে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে ভাতের হাতার তিন হাতা সাদা তেল গরম করে চারটে বড় পেঁয়াজের স্লাইজ দিয়ে হালকা বাদামী রং করে ভেজে নিন। 

হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে আলাদা করে রাখুন। সসপ্যান আঁচে বসিয়ে দেড় টেবিল চামচ দেশি ঘি গরম করে দশটা কাজু বাদাম, এক টেবিল চামচ চিরঞ্জি, দুই টেবিল চামচ কোকোনাট পাউডার দিয়ে নেড়ে ভাল করে ভেজে নিন। সামান্য জল দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। মিক্সিতে ভেজে নেওয়া চিরঞ্জি, কাজুবাদাম, কোকোনাট পাউডার ও ভাজা পেয়াজের স্লাইজগুলো দিয়ে একটা মিশ্রন বা পেস্ট তৈরি করে নিন। 

একটা পাত্রে দেড় কাপ টক দই, দুই চা চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, হাফ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক চা চামচ কালো গোল মরিচের গুঁড়ো, দেড় চা চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, দুই টেবিল চামচ ধনের গুঁড়ো ও সামান্য জল দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে ভাতের হাতা দেড় হাতা সাদা তেল ও ভাতের হাতার দুই হাতা দেশি ঘি গরম করে দুটো তেজ পাতা, একটা বড় এলাচ, ছটা ছোট এলাচ, দশটা লবঙ্গ, এক চা চামচ সাদা জিরে, দশটা কালো গোল মরিচ, একটা বড় দারচিনির স্টিক ফোরন দিন।

এবার চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে একটু ভেজে টকদই ও মশলার মিশ্রণটা ঢেলে দিন নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার দুই টেবিল চামচ আদা, রসুন বাটা, চারটে চেরা কাচা লঙ্কা, আন্দাজমতো নুন, দুই টেবিল চামচ সরু লম্বা লম্বা করে কাটা আদা দিয়ে ক্রমাগত নেড়ে কিছুক্ষণ কষে নিন। এবার ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে মিনিট পাঁচেক রান্না করুন। পাচ মিনিট বাদে ঢাকনা খুলে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে আবার ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে পাঁচ মিনিট রান্না করুন। এভাবে পাঁচ মিনিট অন্তর ঢাকনা খুলে নেড়ে নিয়ে আবার ঢাকনা বন্ধ করে পাঁচ মিনিট নিভু আঁচে রান্না করতে হবে। 

মোট কুড়ি মিনিট রান্না করতে হবে। চিকেন নরম হয়ে এলে ওর মধ্যে মিক্সিতে চিরঞ্জি, কাজুবাদাম, কোকোনাট পাউডার ও ভাজা পিয়াজ বাটার পেস্টটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে এক চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো, হাফ চা চামচ জয়িত্রির গুঁড়ো, এক চিমটে জায়ফলের গুঁড়ো, এক চা চামচ গোলাপ জল, এক চা চামচ কেওড়া জল, দুই টেবিল চামচ সরু লম্বা লম্বা করে কাটা আদা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। নিভূ আচে কিছুক্ষণ রান্না করুন। চিকেন সম্পূর্ন পেকে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে মিনিট দশেক রেখে দিন। দশ মিনিট বাদে ঢাকনা খুলে গরম গরম পরিবেশন করুন পোলাও, রুটি বা পরোটা সহযোগে।

12 months ago


Recipe: বাড়িতে বানান সুস্বাদু ফ্রায়েড ফিশ

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: ফিশ ফ্রাইয়ের প্রতি বাঙালি খাদ্যরসিকদের একটা আলাদা আকর্ষণ ও আবেগ রয়েছে। ফিশ ফ্রাই খেতে ভালবাসেন না, এরকম বাঙালি খুজে পাওয়া দুষ্কর। হোটেল রেস্তোরাঁয় গিয়ে তো অনেক ফিশ ফ্রাই খেয়েছেন। এবার ছুটির দিনে বিকেলে বাড়িতে নিজের হাতে বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু ফিশ ফ্রাই। ফিশ ফ্রাই তৈরি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে জমিয়ে খেতে পারেন।

ফ্রায়েড ফিশ তৈরির পদ্ধতি --- পাঁচশো গ্রাম বোনলেস ভেটকি মাছের ফিলে থেকে ডায়মন্ড শেপে আট পিস ফ্রাইয়ের মাছ কেটে নিন। ভেটকি মাছের পিসগুলোর উপরে দুটো বড় পাতি লেবুর রস ও আন্দাজমতো নুন হাতের সাহায্যে মাখিয়ে নিয়ে মিনিট দশেক আলাদা করে রেখে দিন। দশ মিনিট বাদে লেবুর রস ও নুন মাখানো মাছের পিসগুলো জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছে নিন। একটা পাত্রে দুটো ডিমের গোলা, পঞ্চাশ গ্রাম সাদা তেল, একশো গ্রাম ময়দা, দশ গ্রাম মাস্টারড পাউডার, দশ গ্রাম সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো, আন্দাজমতো নুন, পঞ্চাশ গ্রাম সস, দুই টেবিল চামচ জল, দশ গ্রাম চিনির গুঁড়ো নিয়ে হাতের সাহায্যে খুব ভাল করে ফেটিয়ে একটি মিশ্রণ বা ব্যাটার তৈরি করে নিন। এবার এই ব্যাটারের মধ্যে ভেটকি মাছের পিসগুলো দিয়ে ভাল করে ব্যাটারে চুবিয়ে মিনিট পাঁচেক রেখে দিন। 

দুশো গ্রাম ব্রেড ক্রাম্ব সমান করে বিছিয়ে দিন। পাঁচ মিনিট বাদে ব্যাটারে চোবানো ভেটকি মাছের পিসগুলো ব্রেড ক্রাম্বের মধ্যে দিয়ে উল্টেপাল্টে হাতের সাহায্যে চেপে ভেটকি মাছের দুই পিঠে ব্রেড ক্রাম্ব লাগিয়ে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে ডুবো তেলে ব্যাটারে চোবানো ভেটকি মাছের পিসগুলো দিয়ে হালকা বাদামি রং করে ভেজে নিন। মাছ পেকে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে নিন। প্লেটে রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন আলু ভাজা ও টারটার সস বা টমেটো সস সহযোগে।

12 months ago
Keema: বাড়িতে বানান সুস্বাদু মটন কিমা মশলা, উইকএন্ড ছুটিতে খেয়ে মজা

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: ছুটির দিনে বা বাড়িতে অতিথি এলে মটন কিমা দিয়ে এই সুস্বাদু পদটি নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে পারেন। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় এই পদটি খেয়ে ও খাইয়ে খুবই তৃপ্তি পেতে পারেন। মটন কিমা মশলা তৈরির পদ্ধতি--- কড়া আঁচে বসিয়ে পাঁচশো গ্রাম বোনলেস মটন কিমা, দুটো বড় পেঁয়াজ কুচি, এক টেবিল চামচ রসুন বাটা, এক টেবিল চামচ আদা বাটা, দুটো বড় টমেটো কুচি, হাফ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, আন্দাজমতো নুন, হাফ চা চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, এক চা চামচ জিরের গুঁড়ো, হাফ চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো ও আন্দাজমতো জল দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে পনেরো মিনিট  সিদ্ধ করুন। এবার ঢাকনা খুলে ভাল করে নেড়ে নিন যাতে তলায় লেগে না যায়। 

আবার ঢাকনা বন্ধ করে আরও পনেরো মিনিট রান্না করুন। পনেরো মিনিট বাদে ঢাকনা খুলে ক্রমাগত নেড়ে কষে নিন, যতক্ষণ না কিমার জল শুকিয়ে যাচ্ছে। কিমা সিদ্ধ হয়ে গেলে ও জল শুকিয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। অন্য একটি কড়া আঁচে বসিয়ে পঞ্চাশ গ্রাম মাখন গলিয়ে তার মধ্যে সিদ্ধ করা মটনের কিমা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে ভাতের হাতার এক হাতা দেশি ঘি দিয়ে নিভু আঁচে পনেরো মিনিট ক্রমাগত নেড়ে কষে নিন। 

এবার ওর মধ্যে এক কাপ ফেটানো টক দই ও তিনটে কাচা লঙ্কা কুচি দিয়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার আঁচ বাড়িয়ে নেড়ে মিনিট পাঁচেক কষে নিন। তেল ছাড়তে শুরু করলে দুটো কাচা লঙ্কা কুচি, দুই টেবিল চামচ সরু লম্বা লম্বা করে কাটা আদা, দুই টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট ওই অবস্থায় রেখে দিন। পাঁচ মিনিট পরে রুটি বা পরোটা সহযোগে গরম গরম কিমা পরিবেশন করুন।

one year ago
Food: বাড়িতে বানান সুস্বাদু চিকেন স্যান্ডুইচ, অতিথিদের আপ্যায়ন করুন

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: চিকেন স্যান্ডুইচের প্রতি বাচ্চা থেকে বুড়ো সবারই সমান আকর্ষন রয়েছে। ছুটির দিন বিকেলে নিজের হাতে চিকেন স্যান্ডুইচ তৈরি করে পরিবারের সবাইকে খাইয়ে ও নিজে খেয়ে খুশি হতে পারেন। চিকেন স্যান্ডুইচ তৈরির পদ্ধতি--- ১৬টি পাউরুটির স্লাইজ নিয়ে ধারগুলো ছুরির সাহায্যে কেটে নিন। একটা পাত্রে দেড়শো গ্রাম মাখনের সঙ্গে পাঁচ গ্রাম মাস্টারড পাউডার  (সর্ষের গুঁড়ো) নিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। একটা সসপ্যানে পাঁচশো গ্রাম ড্রেসড চিকেন, একটা বড় আদার চাক, একটা বড় পেঁয়াজের চারটে খণ্ড, দুটো তেজ পাতা, একটা দারচিনির স্টিক, অর্ধেক করে কাটা একটা বড় গাজর, আন্দাজমতো নুন ও জল দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে সিদ্ধ করুন। চিকেন সম্পূর্ন সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে শুধুমাত্র সিদ্ধ করা চিকেনগুলো তুলে নিন। ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে হাতের সাহায্যে হাড়গুলো থেকে চিকেনের মাংসগুলো আলাদা করুন। 

ছুরির সাহায্যে সিদ্ধ করা চিকেন সরু লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। একটা পাত্রে সিদ্ধ করা চিকেন, পচিশ গ্রাম পারসলি পাতা কুচি, দশ গ্রাম সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো, আন্দাজ মতো নুন, ছয় টেবিল চামচ মেয়নিস নিয়ে হাতের সাহায্যে খুব ভাল করে মেখে মিশিয়ে একটা মিশ্রন তৈরি করে নিন। স্যান্ডুইচের পুর তৈরি হয়ে গেল। এবার প্রতিটি পাউরুটির স্লাইজের উপর পুরু করে মাখন ও মাস্টারড পাউডারের মিশ্রণটা মাখিয়ে নিন। এবার মাখন ও মাস্টারড পাউডারের মিশ্রণ মাখানো পাউরুটির স্লাইজের উপর সমানভাবে চিকেনের পুরটা রেখে অপর পাউরুটির স্লাইজ দিয়ে চাপা দিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে দিন। 

এভাবে বাকিগুলো করে নিন। সবগুলোতে পুর ভরে পাউরুটির স্লাইজ দিয়ে ঢাকা দিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে ধারালো ছুরির সাহায্যে কোনাকুনি ভাবে ত্রিভুজাকারে কেটে নিন। চিকেন স্যান্ডুইচ তৈরি হয়ে গেল এবার পরিবেশন করুন।

one year ago


Halim: পবিত্র ইদের উৎসবে মেতে উঠুন সুস্বাদু হালিম খেয়ে, জানুন ইতিহাস

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রতিবছর রমজান মাসে শহরের মোগলাই রেস্তোরাঁগুলিতে পরিবেশিত হয় সুস্বাদু হালিম। রকমারি ডাল, সুগন্ধি চাল, গম, ঘি, রকমারি মশলা, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা প্রভৃতি সংমিশ্রনে তৈরি সুস্বাদু হালিম। এর প্রতি বাঙালি খাদ্যরসিকদের একটা আকর্ষণ রয়েছে। যদিও রমজান মাসে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরা ভোরের সূক্ষ্ম আলো থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নির্জলা উপবাসের পরে হাইপ্রোটিন সমৃদ্ধ হালিম পদটি খেয়ে তাদের সারাদিনের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারেন।

তবে এই রমজান মাসে শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরাই নয় অন্য সম্প্রদায়ের খাদ্যরসিক মানুষরাও এই সময়ে সুস্বাদু হালিমের স্বাদ গ্রহণ করতে শহরের মোগলাই খাবারের রেস্তোরাঁগুলোতে ভিড় জমান। এই হালিমের উৎপত্তিস্থল মধ্য প্রাচ্য। গম, ডাল ও মাংসের সংমিশ্রনে তৈরি এই পদের নাম ছিল হারিশ। কথিত আছে ষোড়শ শতকে পারস্যের সম্রাটের শাহি দস্তরখান থেকে মোগল সাম্রাট হুমায়ুনের মারফত ভারতে আসে হারিশ। পরবর্তী সময়ে হারিশ, হালিম নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। তবে এদেশে হায়দরাবাদের চারমিনার থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সৈন্যদের ব্যারাক বা ব্যারাকস থেকেই হালিমের জয়যাত্রা শুরু হয়। উনিশ শতকে আরবের হাদরামি সেপাইরা হায়দরাবাদের নিজামের দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত হন। তারা সৈন্যদের ব্যারাকে থাকাকালীন মধ্যপ্রাচ্যর হারিশ রান্না চালু করেছিলেন।


মধ্যপ্রাচ্যের হারিশের পাক প্রণালীর সঙ্গে হায়দরাবাদের সুগন্ধি চাল, ঘি রকমারি মশলা ও দেশীয় গুল্মর সংমিশ্রনে তৈরি হয় এক অনন্য হালিম। বর্তমানে ভারতের সর্বধর্মীয় সম্প্রদায়ের খাদ্যরসিক মানুষের কাছে হালিমের এক আলাদা আকর্ষন রয়েছে। প্রতি বছরের মত এই বছরেও কলকাতার ৭৬ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মোগলাই খাবারের রেস্তোরাঁ আমিনিয়াতে পরিবেশিত হচ্ছে সুস্বাদু মশলাদার হায়দরাবাদি মটন ও চিকেন হালিম।

দাম ২২০ টাকা। আমিনিয়া রেস্তোরাঁর বাইরের স্টল থেকে হালিম কিনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আমিনিয়াতে বসেও জমিয়ে হালিম খাওয়া যাবে প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত। দেশি ঘি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, পাঁচ রকমের ডাল, গমের ডালিয়া, বাসমতি চাল, রকমারি মশলা, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, কাচা লঙ্কা কুচি দিয়ে তৈরি পাতি লেবুর রস ছড়িয়ে পরিবেশিত মটন বা চিকেন হালিম গরম-গরম তন্দুরি রুটি সহযোগে খাবার মজাই আলাদা। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। হালিমের পরিমাণ বেশ ভাল। চাইলে দুজনে ভাগ করেও খাওয়া যায়।

one year ago
Homemade: বাড়িতে বানান সুস্বাদু পিপার চিকেন

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাড়িতে হঠাৎ করে অতিথি এসে গেলে বা একটু ভিন্ন স্বাদের কোন পদ খেতে ইচ্ছে করলে তৈরি করে ফেলতে পারেন একেবারে পাঞ্জাবি ঘরানার পিপার চিকেন। এই পদটি তৈরি করতে বিশেষ কোন ঝামেলা নেই। অথচ এই পদটি স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। রুটি, পরোটার সঙ্গে তো জমে যাবেই, এমনকি শুধু শুধু খেতেও দারুণ।

পিপার চিকেন তৈরির পদ্ধতি---  এক কেজি হাড় সমেত ড্রেসড চিকেনের চোদ্দটা খণ্ড করে নিন। জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে ভাতের হাতার এক হাতা সাদা তেল ও ভাতের হাতার আধ হাতা দেশি ঘি গরম করে আট টেবিল চামচ থেতো করা কালো গোল মরিচ দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে চিকেনের খন্ডগুলো দিয়ে নেড়ে ভাল করে ভেজে নিন। আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। চিকেন অর্ধেক ভাজা হয়ে গেলে ওর মধ্যে ভাতের হাতার দশ হাতা চিকেন স্টক বা গরম জল দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। দুই টেবিল চামচ সরু লম্বা লম্বা করে কাটা আদা, দুই চা চামচ সাদা ভিনিগার ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন।

এবার নিভু আঁচে ঢাকনা বন্ধ করে কিছুক্ষণ রান্না করুন। মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে দেবেন। চিকেন সম্পূর্ন সিদ্ধ হয়ে গেলে ও ঝোল শুকনো শুকনো গা মাখা হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে পরোটা বা রুটি সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করুন।

one year ago


Fish: বাড়িতে বিকেলের চায়ের সাথে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু ফিশ ফিংগার

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: ছুটির দিনে বাড়িতে আতিথি এলে বা বাড়ির সবাইকে বিকেলে চায়ের সঙ্গে গরম গরম সুস্বাদু ফিশ ফিংগার তৈরি করে খাইয়ে খুশি করতে পারেন। ফিশ ফিংগার তৈরির পদ্ধতি---  পাঁচশো গ্রাম বোনলেস ভেটকি মাছের ফিল আঙুলের শেপে লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। মাছের খণ্ডগুলো জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছে নিন। এবার একটা পাত্রে একটা বড় পাতি লেবুর রস, তিন টেবিল চামচ মাস্টারড পাউডার, এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক টেবিল চামচ রসুন বাটা, এক টেবিল চামচ কাচা লঙ্কা বাটা, দুই টেবিল চামচ ধনেপাতা বাটা, এক টেবিল চামচ পারসলি পাতা কুচি, আন্দাজমতো নুন, দুই চা চামচ সাদা মরিচের গুঁড়ো, এক চিমটে আজিনামোটো, একটা ডিমের গোলা, তিন টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার নিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন।

এবার এই মিশ্রণের মধ্যে ভেটকি মাছের খণ্ডগুলো দিয়ে হাতের সাহায্যে মিশ্রণটা মাছের খণ্ডগুলোর গায়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। মিশ্রণ মাখানো মাছের খণ্ডগুলো ঘন্টা চারেক আলাদা করে রেখে দিন। চার ঘণ্টা বাদে আন্দাজমতো ব্রেড ক্রাম্ব নিয়ে মিশ্রন মাখানো ভেটকি মাছের খণ্ডগুলো ওর মধ্যে দিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে রোল করে ব্রেড ক্রাম্ব মাখিয়ে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে ডুবো তেলে ভেটকি মাছের ফিংগারগুলো ছেড়ে হাল্কা বাদামি রং করে ভেজে নিন।

হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন কাসুন্দি বা রেডিমেড টারটার সস সহযোগে।

one year ago
Fried Rice: বাড়িতে বানান সুস্বাদু মজাদার এগ র‍্যাপড মিক্সড ফ্রায়েড রাইস

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাড়িতে অতিথি এলে নিজের হাতে হোটেল, রেস্তোরাঁর মতো সুস্বাদু মিক্সড ফ্রায়েড রাইস তৈরি করে ডিমের ওমলেটের খাম বা এনভেলাপে পুরে আকর্ষণীয় করে পরিবেশন করতে পারেন। এগ র‍্যাপড মিক্সড ফ্রায়েড রাইস তৈরির পদ্ধতি--- ২০০ গ্রাম বাসমতি চাল জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে আধঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। আধ ঘন্টা বাদে হাড়ি বা ডেচকি আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো জল দিয়ে চাল সিদ্ধ করুন। চাল ৩-৪ অংশ সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে ছেকে নিন। পাখার তলায় একটি ট্রে বা বড় থালা বিছিয়ে রেখে ঠান্ডা করে নিন।

কড়া আঁচে বসিয়ে তিন টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে দুটো ডিমের গোলা দিয়ে নেড়ে ভেজে খুন্তির সাহায্যে নেড়ে ডিমের ঝুড়ির মত করে নিন। এবার ওর মধ্যে এক মুঠো সিদ্ধ করা গাজর, এক মুঠো সিদ্ধ করা বিনস, ১০০ গ্রাম সিদ্ধ করা বোনলেস চিকেনের কুচি, ১০০ গ্রাম সিদ্ধ করা চিংড়ি মাছ, ছোট এক মুঠো ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভেজে নিন।

এক মুঠো স্প্রিং আনিয়ন কুচি, এক টেবিল চামচ লাইট সোয়া সস দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভেজে নিন। এবার হাফ চা চামচ চিনি, আন্দাজমতো নুন ও সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ভেজে নিন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। একটা নন স্টিক ফ্রাইং প্যান আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল দিয়ে সমস্ত প্যানের মধ্যে ছড়িয়ে গ্রিজ করে নিন।

একটা পাত্রে ৪টে ডিম ফাটিয়ে ভাল করে ডিমের গোলা তৈরি করে নিন। এবার ডিমের গোলাটা প্যানে ঢেলে সমানভাবে গোল করে (রুটির মত) একটি ওমলেট বানিয়ে নিন। হয়ে গেলে গোলাকার ওমলেটটা একটি প্লেটের উপর রেখে তার মাঝখানে রান্না করা ফ্রায়েড রাইসটা রেখে হাতের সাহায্যে চেপে সমান করে নিন। এবার হাতের সাহায্যে ডিমের ওমলেটের চারধার খামের মত ভাজ করে ভাজা ডিমের চারপাশ মুড়ে বন্ধ করে দিন। এবার ওর উপর আরেকটি প্লেট চাপা দিয়ে উল্টে নিয়ে ছুরির সাহায্যে খামের শেপে কেটে পরিবেশন করুন।

one year ago
COOK: বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু চিলি গারলিক পিপার চিকেন

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাঙালি খাদ্যরসিকদের চাইনিজ খাবারের প্রতি আলাদা আকর্ষন রয়েছে। শহরের বিখ্যাত চাইনিজ রেস্তোরাঁগুলোতে উপচে পড়ে বাঙালি খাদ্যরসিকদের ভিড়। এবার চাইলে চিকেনের একটি সুস্বাদু চাইনিজ পদ নিজের হাতে বানিয়ে বাড়ির লোকেদের খাইয়ে ও নিজে খেয়ে খুশি হতে পারেন।

চিলি গারলিক পিপার চিকেন তৈরির পদ্ধতি--- পাঁচশো গ্রাম বোনলেস চিকেন লেগ খণ্ডখণ্ড করে কেটে নিন। জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছে নিন। একটা পাত্রে এক টেবিল চামচ রসুন কুচি, এক টেবিল চামচ আদা কুচি তিন টেবিল চামচ চিলি অয়েল, একটা ডিমের গোলা, চার টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, এক চা চামচ ডার্ক সোয়া সস, এক চা চামচ লাইট সোয়া সস, এক চিমটে আজিনামোটো, আন্দাজমতো নুন ও সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো নিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।

এবার এই মিশ্রনের মধ্যে চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে হাতের সাহায্যে মিশ্রণটা চিকেনের গায়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো আধ ঘন্টা আলাদা করে রেখে দিন। আধ ঘন্টা বাদে কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে ডুবো তেলে মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে হালকা বাদামী করে ভেজে নিন। হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে আলাদা করে রাখুন। এবার অন্য একটি ফ্রাইং প্যান আঁচে বসিয়ে দুই টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে দেড় টেবিল চামচ রসুন কুচি দিয়ে নেড়ে ভেজে দেড় টেবিল চামচ সরু লম্বা লম্বা করে কাটা কাচা লঙ্কা দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন।

এবার ওর মধ্যে এক কাপ চিকেন স্টক, এক টেবিল চামচ ডার্ক সোয়া সস, দুই চা চামচ লাইট দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ভাজা চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে ভাল করে নেড়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। জল শুকিয়ে তেল ছাড়তে শুরু করলে আঁচ থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ফ্রায়েড রাইস বা নুডলস সহযোগে।

one year ago


Cooking: বাড়িতে বানান সুস্বাদু চিকেন ডাকবাংলো

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাড়িতে দুপুর বা রাতের মেনুতে বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু চিকেন ডাকবাংলো। এই পদটিতে চিকিনের সঙ্গে ডিমও থাকে। ভাত, রুটি, পরোটা, লুচি, পোলাও সহযোগে চিকেন ডাকবাংলো খেতে খুবই উপাদেয়। নিজের হাতে রান্না করে বাড়ির লোকেদের খাইয়ে খুশি করতে পারেন।

চিকেন ডাকবাংলো তৈরির পদ্ধতি--

এক কেজি হাড় সমেত চিকেনের দশ থেকে বারোটা খণ্ড করে নিন। চিকেনের খণ্ডগুলো জলে ধুয়ে পরিস্কার করে জল মুছে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে পঞ্চাশ গ্রাম সর্ষের তেল গরম করে তার মধ্যে একটা বড় দারচিনির স্টিক, পাঁচটা ছোট এলাচ, ছয়টা লবঙ্গ ফোড়ন দিন। এবার দুটো বড় সাইজের পেঁয়াজের স্লাইজ দিয়ে আন্দাজ মত নুন দিয়ে হাল্কা বাদামি করে ভেজে নিন। এবার এক টেবিল চামচ রসুনবাটা ও দুই টেবিল চামচ আদা বাটা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভেজে নিন। এবার চারটে মাঝারি টমেটো কুচি দিয়ে নেড়ে ক্রমাগত কষতে থাকুন যতক্ষণ না টমেটো গলে যাচ্ছে। টমেটো গলে গেলে এক চা চামচ চিনি, প্রয়োজন মত নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। দুই চা  চামচ শুকনো লঙ্কার গুড় , এক চা চামচ হলুদ গুড় ও আন্দাজ মত জল দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে কোষে নিন।

এবার ভাতের হাতার এক হাতা ফেটানো টক দই দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে কোষে নিন। তেল ছাড়তে শুরু করলে চিকেন এর খণ্ডগুলো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিভু আঁচে ক্রমাগত নেড়ে মিনিট পাঁচেক কষে নিন। এবার সামান্য জল দিয়ে আরও কয়েক মিনিট কষুন যতক্ষণ না তেল ছাড়ছে। তেল ছাড়তে শুরু করলে ওর মধ্যে চার বাটি বা আন্দাজ মত জল দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে দশ-পনেরো মিনিট রান্না করুন।

মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে চিকেনের খন্ডগুলো নেড়ে দেবেন। চিকেন সিদ্ধ হয়ে গেলে উপর থেকে এক টেবিল চামচ ঘি  ও এক চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। দশ থেকে বারোটা সিদ্ধ করা মুরগির ডিমের খোসা ছাড়িয়ে নিন। ফ্রাইংপ্যান আঁচে বসিয়ে আন্দাজ মত সরষের তেল গরম করে লাল করে ভেজে নিন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। ভাজা ডিমগুলো রান্না করা চিকেনের উপর ছড়িয়ে দিয়ে দিন। গরম গরম পরিবেশন করুন রুটি, পরোটা, লুচি, পোলাও বা ভাত সহযোগে।

one year ago
Kachuri: হোলিতে বাড়িতে বানান সুস্বাদু মুগডাল কচুরি

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: দোলের দিনে বাড়িতে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনরা এলে তাদের গরম গরম খাস্তা সুস্বাদু মুগডাল কচুরি নিজের হাতে তৈরি করে খাওয়াতে পারেন। রকমারি মিষ্টি, সরবতের সাথে গরম গরম মুগডাল কচুরি একেবারে জমে যাবে।

মুগডাল কচুরি তৈরির পদ্ধতি -- দেড় কাপ মুগডাল জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে জলে ঘন্টা তিনেক ভিজিয়ে রাখুন। তিন ঘন্টা বাদে জল ছেকে নিয়ে মিক্সিতে দিয়ে ডালের পেস্ট তৈরি করে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে দুই টেবিল চামচ দেশি ঘি গরম করে এক চা চামচ মৌরি, এক চা চামচ সাদা জিরে এক চিমটে হিং ফোরন দিন।

এবার ওর মধ্যে এক চা চামচ আদাবাটা, এক চা চামচ ধনের গুড়ো, এক চা চামচ শুকনো লঙ্কার গুড়ো, এক চা চামচ গরম মশলার গুড়ো, হাফ চা চামচ হলুদ গুড়ো, এক চা চামচ আমচুর, আন্দাজমতো নুন দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে ভেজে নিন। হালকা বাদামী  রং হলে ১/৪ কাপ বেসন দিয়ে  ক্রমাগত নেড়ে ভাল করে ভেজে নিন।

যতক্ষণ না বেসনের কাচা গন্ধ চলে যাচ্ছে। বাদামী রং হলে ওর মধ্যে মুগডালের পেস্টটা  দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভেজে নিন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। মুগডালের পুর তৈরি হয়ে গেল। একটি পাত্রে আড়াই কাপ ময়দা, আন্দাজমতো নুন দিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার চার টেবিল চামচ   গলানো দেশি ঘি ওর মধ্যে দিয়ে খুব ভাল করে হাতের সাহায্যে মিশিয়ে নিন।

এবার ওর মধ্যে একটু একটু করে জল দিয়ে হাতের সাহায্যে ঠেসে মেখে একটা নরম ময়দার তাল তৈরি করে নিন। হয়ে গেলে মাখা ময়দার তাল এর উপর সাদা তেল মাখিয়ে নিয়ে পরিষ্কার কাপড় চাপা দিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। আধ ঘণ্টা বাদে মাখা ময়দার তাল থেকে গোল গোল বড় সাইজের লেচি কেটে নিন।

লেচিগুলো কচুরির মত করে বেলে নিন। এবার  একমুঠো করে ডালের পুর হাতের সাহায্যে গোল বলের মত পাকিয়ে এক একটা কচুরির মধ্যে দিয়ে হাতের সাহায্যে চারপাশ মুড়ে বন্ধ করে দিন। এবার পুরভর্তি লেচিগুলো কচুরির সাইজে মোটা করে বেলে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে ডুবো তেলে কচুরিগুলো ছেড়ে নিভূ আঁচে সময় নিয়ে একেক পিঠ ভেজে উল্টে অপর পিঠ ভেজে নিন। হালকা বাদামী রং হলে কড়া থেকে তুলে তেল ঝড়িয়ে নিন। গরম গরম কচুরি পরিবেশন করুন।

one year ago